সিলেট ১১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দারুল আইতাম হালিমাতুস সাদিয়া রা.এতিমখানায় অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বন্যা দুর্গত বিভিন্ন জেলায়।এম এ একাডেমি ইউকের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ। Logo জামেয়া ইসলামিয়া হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. সিলেটের ফলাফল প্রকাশ ও অভিভাবক সভা সম্পন্ন Logo মৌলভীবাজারে জামায়াতের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদের সমবেদনা ও উপহার প্রদান ।। Logo সিলাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মকবুল হোসেনের ইন্তেকাল : দাফন সম্পন্ন Logo কমলগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে জামায়াতের ত্রাণ বিতরণ Logo ট্রাম্পের আক্রমণ সত্ত্বেও সমর্থন বাড়ছে কমলার Logo সাংবাদিক এটিএম তুরাব স্মরণে দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল Logo প্রবাসী গীতিকার আছাব আলী কে গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান। Logo সিলাম জামেয়া কোরআনিয়া মাদরাসায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

এক বছর ধরে বন্ধ হবিগঞ্জের বৃহত্তম সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র

ডিএসএস ডেস্ক :: এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে হবিগঞ্জের বৃহত্তম সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। যার উৎপাদন ক্ষমতা ৩৩০ মেগাওয়াট। এক বছর আগে অগ্নিকাণ্ডে এর ৩টি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকেই এটি বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হলেও এটি সংস্কারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সংস্কারে ১০০ কোটি টাকার মতো লাগবে বলে জানায় একটি সূত্র।

এদিকে মাত্র ১৬ মেগাওয়াট চাহিদার এ জেলায় বিদ্যুতের অভাবে লোডশেডিং হচ্ছে দিনের এক-তৃতীয়াংশ সময়। আবার কখনও লোডশেডিং হয় দিনের অর্ধেক সময়। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলে।

ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান টিপু বলেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে। ব্যবসা করতে পারছি না। সন্তানরা পড়তে পারছে না। ছেলে-মেয়েদের স্কুল আগে ছুটি দিয়ে দেয়। লোডশেডিংয়ে আমরা অতিষ্ঠ।

ইজিবাইকচালক সজিব মিয়া বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ইজিবাইক চার্জ দিতে পারি না। তাই গাড়িও চালাতে পারি না। নির্মাণ শ্রমিক লিলু মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে কাজ করতে পারছি না। শ্রমিকদের অধিকাংশ সময় বসিয়ে রেখে টাকা দিতে হচ্ছে।

হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম বলেন, জেলার সরকারি সবচেয়ে বড় ৩৩০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বিকল হয়ে এক বছর ধরে পড়ে আছে। অথচ এটা শিল্প অধ্যুষিত একটি জেলা। বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি কেন্দ্রটি দ্রুত চালু করার দাবি জানান।

শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী শফি উদ্দিন আহমেদ বলেন, কেন্দ্রটি পুনঃসংস্কার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এটি চালু করা সম্ভব হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, এটি সংস্কার করতে ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ টাকা সরকারের জন্য খুব বেশি নয়। এটি চালু হলে এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই এ টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলেও সূত্রটির দাবি।

ট্যাগস :

দারুল আইতাম হালিমাতুস সাদিয়া রা.এতিমখানায় অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

এক বছর ধরে বন্ধ হবিগঞ্জের বৃহত্তম সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ আগস্ট ২০২৩

ডিএসএস ডেস্ক :: এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে হবিগঞ্জের বৃহত্তম সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। যার উৎপাদন ক্ষমতা ৩৩০ মেগাওয়াট। এক বছর আগে অগ্নিকাণ্ডে এর ৩টি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকেই এটি বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হলেও এটি সংস্কারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সংস্কারে ১০০ কোটি টাকার মতো লাগবে বলে জানায় একটি সূত্র।

এদিকে মাত্র ১৬ মেগাওয়াট চাহিদার এ জেলায় বিদ্যুতের অভাবে লোডশেডিং হচ্ছে দিনের এক-তৃতীয়াংশ সময়। আবার কখনও লোডশেডিং হয় দিনের অর্ধেক সময়। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলে।

ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান টিপু বলেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে। ব্যবসা করতে পারছি না। সন্তানরা পড়তে পারছে না। ছেলে-মেয়েদের স্কুল আগে ছুটি দিয়ে দেয়। লোডশেডিংয়ে আমরা অতিষ্ঠ।

ইজিবাইকচালক সজিব মিয়া বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ইজিবাইক চার্জ দিতে পারি না। তাই গাড়িও চালাতে পারি না। নির্মাণ শ্রমিক লিলু মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে কাজ করতে পারছি না। শ্রমিকদের অধিকাংশ সময় বসিয়ে রেখে টাকা দিতে হচ্ছে।

হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম বলেন, জেলার সরকারি সবচেয়ে বড় ৩৩০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বিকল হয়ে এক বছর ধরে পড়ে আছে। অথচ এটা শিল্প অধ্যুষিত একটি জেলা। বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি কেন্দ্রটি দ্রুত চালু করার দাবি জানান।

শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী শফি উদ্দিন আহমেদ বলেন, কেন্দ্রটি পুনঃসংস্কার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এটি চালু করা সম্ভব হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, এটি সংস্কার করতে ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ টাকা সরকারের জন্য খুব বেশি নয়। এটি চালু হলে এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই এ টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলেও সূত্রটির দাবি।