সিলেট ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুম খোকনের আজগুবি কমিটি নিয়ে ক্যাঁচাল কানাডা বিএনপিতে Logo তপন মাহমুদ জনি প্যারিস অলিম্পিকে সম্প্রচার প্রকৌশলী হিসেবে থাকবেন Logo সেমিনারে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান ভূমি সংক্রান্ত সেবা শতভাগ ঝামেলাহীন হতে হবে Logo সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী পেলেনগ্রাসরুটস এর হিমাংশু মিত্র Logo দক্ষিণ সুরমা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে দুদক Logo মোরেলগঞ্জে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও প্রথম সাধারণ সভা Logo দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবে আনোয়ার ফাউন্ডেশন ইউকের রেইনকোট প্রদান Logo সিলেট জেলা কাস্টমস কিস্নয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিংএজেন্ট গ্রুপের সাধারণসভা ও কমিটি ঘোষনা Logo জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম বার্ষিকী

এক বছর ধরে বন্ধ হবিগঞ্জের বৃহত্তম সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র

ডিএসএস ডেস্ক :: এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে হবিগঞ্জের বৃহত্তম সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। যার উৎপাদন ক্ষমতা ৩৩০ মেগাওয়াট। এক বছর আগে অগ্নিকাণ্ডে এর ৩টি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকেই এটি বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হলেও এটি সংস্কারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সংস্কারে ১০০ কোটি টাকার মতো লাগবে বলে জানায় একটি সূত্র।

এদিকে মাত্র ১৬ মেগাওয়াট চাহিদার এ জেলায় বিদ্যুতের অভাবে লোডশেডিং হচ্ছে দিনের এক-তৃতীয়াংশ সময়। আবার কখনও লোডশেডিং হয় দিনের অর্ধেক সময়। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলে।

ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান টিপু বলেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে। ব্যবসা করতে পারছি না। সন্তানরা পড়তে পারছে না। ছেলে-মেয়েদের স্কুল আগে ছুটি দিয়ে দেয়। লোডশেডিংয়ে আমরা অতিষ্ঠ।

ইজিবাইকচালক সজিব মিয়া বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ইজিবাইক চার্জ দিতে পারি না। তাই গাড়িও চালাতে পারি না। নির্মাণ শ্রমিক লিলু মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে কাজ করতে পারছি না। শ্রমিকদের অধিকাংশ সময় বসিয়ে রেখে টাকা দিতে হচ্ছে।

হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম বলেন, জেলার সরকারি সবচেয়ে বড় ৩৩০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বিকল হয়ে এক বছর ধরে পড়ে আছে। অথচ এটা শিল্প অধ্যুষিত একটি জেলা। বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি কেন্দ্রটি দ্রুত চালু করার দাবি জানান।

শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী শফি উদ্দিন আহমেদ বলেন, কেন্দ্রটি পুনঃসংস্কার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এটি চালু করা সম্ভব হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, এটি সংস্কার করতে ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ টাকা সরকারের জন্য খুব বেশি নয়। এটি চালু হলে এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই এ টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলেও সূত্রটির দাবি।

ট্যাগস :

জুম খোকনের আজগুবি কমিটি নিয়ে ক্যাঁচাল কানাডা বিএনপিতে

এক বছর ধরে বন্ধ হবিগঞ্জের বৃহত্তম সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ আগস্ট ২০২৩

ডিএসএস ডেস্ক :: এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে হবিগঞ্জের বৃহত্তম সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। যার উৎপাদন ক্ষমতা ৩৩০ মেগাওয়াট। এক বছর আগে অগ্নিকাণ্ডে এর ৩টি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকেই এটি বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হলেও এটি সংস্কারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সংস্কারে ১০০ কোটি টাকার মতো লাগবে বলে জানায় একটি সূত্র।

এদিকে মাত্র ১৬ মেগাওয়াট চাহিদার এ জেলায় বিদ্যুতের অভাবে লোডশেডিং হচ্ছে দিনের এক-তৃতীয়াংশ সময়। আবার কখনও লোডশেডিং হয় দিনের অর্ধেক সময়। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহলে।

ব্যবসায়ী মহিবুর রহমান টিপু বলেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে। ব্যবসা করতে পারছি না। সন্তানরা পড়তে পারছে না। ছেলে-মেয়েদের স্কুল আগে ছুটি দিয়ে দেয়। লোডশেডিংয়ে আমরা অতিষ্ঠ।

ইজিবাইকচালক সজিব মিয়া বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ইজিবাইক চার্জ দিতে পারি না। তাই গাড়িও চালাতে পারি না। নির্মাণ শ্রমিক লিলু মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে কাজ করতে পারছি না। শ্রমিকদের অধিকাংশ সময় বসিয়ে রেখে টাকা দিতে হচ্ছে।

হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম বলেন, জেলার সরকারি সবচেয়ে বড় ৩৩০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বিকল হয়ে এক বছর ধরে পড়ে আছে। অথচ এটা শিল্প অধ্যুষিত একটি জেলা। বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি কেন্দ্রটি দ্রুত চালু করার দাবি জানান।

শাহজীবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী শফি উদ্দিন আহমেদ বলেন, কেন্দ্রটি পুনঃসংস্কার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এটি চালু করা সম্ভব হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, এটি সংস্কার করতে ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ টাকা সরকারের জন্য খুব বেশি নয়। এটি চালু হলে এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই এ টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলেও সূত্রটির দাবি।