সিলেট ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের দাফন সম্পন্ন Logo মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগছনের এর শোক Logo বৃটেনের ইস্টলন্ডন জামে মসজিদে মাওলানা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের জানাজা সম্পন্ন Logo ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে “অমরাবতীর”পঞ্চম মিলন মেলা অনুষ্টিত Logo সিলেটে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিতজনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীদেরঅধিকার সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে…….. অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আনোয়ার উজ জামান Logo সমাজে গুণী ব্যক্তিদেরমূল্যায়ন করতে হবে…..এম. আহমদ আলী Logo আলহামদুলিল্লাহ! খেলাফত মজলিস দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার মাসিক নির্বাহী বৈঠক সম্পন্ন। Logo গ্রিসে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ এ ডাক পেয়েছেন কুড়িগ্রামের সুমন। Logo যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা আলহাজ্ব আব্দুল জব্বারের ইন্তেকাল Logo মধুপুরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

সংস্কার করতে হবে জনবান্ধব লোক দিয়ে ————-জেএসএফ বাংলাদেশ

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,বাপসনিউজঃজাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন চলাকালে জাতিসংঘের সদরদফতরে সামনে জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন , মনে রাখতে হবে এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তবে নিজেরা যাতে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হন সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।খবর বাপসনিঊজ।

ড. ইউনূস জাতিসংঘে যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন জাতিসংঘের সদরদফতরে সামনে মুহুর্মুহু করতালিতে অভিনন্দন জানান উপস্থিত বাংলাদেশিরা।
জনগণের আন্দোলনের মুখে যে স্বৈরাচার জনগণের বুকের ওপর চেপে বসেছিল, সেই স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের সকল মানুষের কৃতিত্ব। আজকে যখন স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, তখন দেশের জনগণের দাবি ছিল দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সৃষ্ট শুন্যতা পুরণের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের।
স্বৈরাচারী সরকারের ফেলে যাওয়া দলবাজ উচ্ছিষ্ঠ প্রশাসনের চলমান ষড়যন্ত্রের কাছে এ সরকার মাঝে মাঝে অসহায় বোধ করছে। তাদের এই ছোট ছোট ষড়যন্ত্র একসময় মহাবিপদ ডেকে আনবে। তাই এদের অপসারণ করতে হবে।

‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সারা দেশে প্রায় এক হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। সেই আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও প্রশাসনে রয়েছে। যারা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে, তারাই ক্ষমতায় রয়ে গেছে।’

জেএসএফ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন , বিগত সরকারের আমলের পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা দেশে ফেরত আনার জন্য আগে রাগব বোয়ালদের আটক করে বিচার করতে হবে। বারবার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ কর্তৃত্ববাদী হয়ে সবশেষে ছাত্র-জনতার জীবন নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। যাদের হাতে সাধারণ মানুষের রক্ত, তাদের বিচার আগে করতে হবে। তা না হলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।

গত ১৬ বছরে বিশেষ গত এই জুলাই-আগস্টে যে মানুষগুলো আন্দোলনে গিয়েছে, যে মানুষগুলো সবকিছু উজাড় করে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য জীবনবাজি রেখে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের এই আত্মত্যাগ সেদিনই সফলতা লাভ করবে, যেদিন এদেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাবে। সেদিনই বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হবে।

“বিগত সময়ের সরকার প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দালালদেরকে চিহ্নিত করে অপসারণ এবং অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আল্লাহর রহমতে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মুক্তি পেয়েছে। মহান আল্লাহ আমাদের মুক্ত বাতাসে ১৬ বছর পরে কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া জানাই। বিগত আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছেন সেইসব শহীদদের স্বপ্নকে শক্তিতে পরিণত করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা দেশবাসী সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। জনগণকে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু, অন্তর্বর্তী সরকারকে জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের দাফন সম্পন্ন

সংস্কার করতে হবে জনবান্ধব লোক দিয়ে ————-জেএসএফ বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০২:২০:২৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,বাপসনিউজঃজাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন চলাকালে জাতিসংঘের সদরদফতরে সামনে জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশের সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন , মনে রাখতে হবে এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তবে নিজেরা যাতে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হন সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।খবর বাপসনিঊজ।

ড. ইউনূস জাতিসংঘে যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন জাতিসংঘের সদরদফতরে সামনে মুহুর্মুহু করতালিতে অভিনন্দন জানান উপস্থিত বাংলাদেশিরা।
জনগণের আন্দোলনের মুখে যে স্বৈরাচার জনগণের বুকের ওপর চেপে বসেছিল, সেই স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের সকল মানুষের কৃতিত্ব। আজকে যখন স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, তখন দেশের জনগণের দাবি ছিল দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সৃষ্ট শুন্যতা পুরণের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের।
স্বৈরাচারী সরকারের ফেলে যাওয়া দলবাজ উচ্ছিষ্ঠ প্রশাসনের চলমান ষড়যন্ত্রের কাছে এ সরকার মাঝে মাঝে অসহায় বোধ করছে। তাদের এই ছোট ছোট ষড়যন্ত্র একসময় মহাবিপদ ডেকে আনবে। তাই এদের অপসারণ করতে হবে।

‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সারা দেশে প্রায় এক হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। সেই আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও প্রশাসনে রয়েছে। যারা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে, তারাই ক্ষমতায় রয়ে গেছে।’

জেএসএফ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন , বিগত সরকারের আমলের পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা দেশে ফেরত আনার জন্য আগে রাগব বোয়ালদের আটক করে বিচার করতে হবে। বারবার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ কর্তৃত্ববাদী হয়ে সবশেষে ছাত্র-জনতার জীবন নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। যাদের হাতে সাধারণ মানুষের রক্ত, তাদের বিচার আগে করতে হবে। তা না হলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।

গত ১৬ বছরে বিশেষ গত এই জুলাই-আগস্টে যে মানুষগুলো আন্দোলনে গিয়েছে, যে মানুষগুলো সবকিছু উজাড় করে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য জীবনবাজি রেখে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের এই আত্মত্যাগ সেদিনই সফলতা লাভ করবে, যেদিন এদেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাবে। সেদিনই বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হবে।

“বিগত সময়ের সরকার প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দালালদেরকে চিহ্নিত করে অপসারণ এবং অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আল্লাহর রহমতে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মুক্তি পেয়েছে। মহান আল্লাহ আমাদের মুক্ত বাতাসে ১৬ বছর পরে কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া জানাই। বিগত আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছেন সেইসব শহীদদের স্বপ্নকে শক্তিতে পরিণত করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা দেশবাসী সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। জনগণকে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু, অন্তর্বর্তী সরকারকে জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।