সিলেট ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গঠনতন্ত্র নিয়ে চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ”র এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo আইডব্লিওএমডি কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারাবহুবিশ্বাসের সম্প্রীতির নেটওয়ার্ক তৈরি করুন Logo বিএনপির ৩১ দফার সমর্থনে বালাগঞ্জে কৃষক-জনতার সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টেরফ্রি চক্ষু মেডিক্যাল ক্যাম্প সম্পন্ন:- Logo গহরপুর আব্দুল মতিন মহিলাএকাডেমির বার্ষিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ Logo দক্ষিণ সুরমায় ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ আহত ৩ Logo সিলেট ডেভিল হান্টে আরো ও ৯ জন গ্রেফতার। Logo উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ এবং সুস্থ জীবন আচরণের বিকল্প নেই- ডা. মো. আনিসুর রহমান Logo জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সংবর্ধনা ও গৃহ নির্মান শুভ উদ্ভোধন সম্পন্ন:- Logo রেঙ্গা হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর প্রধান শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) শ্রী বিনয় কৃষ্ণ তালুকদার মহোদয়ের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত:-

আফনান আজাদ মুলধারার এবিসিতে

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,বাপসনিউজঃ
বর্তমান বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি ও ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আমার সামনে দাঁড়াতেই আমি “মিস্টার প্রেসিডেন্ট” বলে আমার হাত বাড়িয়ে দেই। বলেছেন আফনান আজাদের বাবা এম আজাদ ।তিনিও হাত বাড়ান আমার হাতের দিকে। আমরা হাত মেলাই। এমন ঘটনাই বাস্তবে ঘটেছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,বুধবার। আমার একমাত্র কন্যা আফনান আমেরিকার মিডিয়া মোগল ‘এবিসি’তে সদ্য নিয়োগ লাভকারী একজন জুনিয়র কর্মকর্তা। গত ২১ সেপ্টেম্বর আমাকে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে জানতে চাইল যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২৫ সেপ্টেম্বর ‘এবিসি’ স্টুডিওতে আসবে, সেদিন আমি স্টুডিওতে যেতে চাই কিনা। আমি ওর মায়ের কাছে জানতে বলি সে যেতে পারবে কিনা।

ওর মাকে আমিও ফোন করে জানাই যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ২৫ সেপ্টেম্বর এবিসি স্টুডিওতে যাবেন ‘দ্য ভিউ’ লাইভ টকশোতে, আমরা সেদিন যাব। প্রথমে সে সম্মত না হলেও পরে আগ্রহী হয়। আফনানকে জানিয়ে দেই যে আমরা যাব। একটু পর সে নিশ্চিত করে যে আমাদের ভিআইপি আসনে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।

পোশাকের কথায় মেয়ে বলে স্যুট বা টাই পরার প্রয়োজন নেই, জিনস বা রেগুলার ট্রাউজারের সাথে শার্ট পরলেই চলবে। ম্যানহাটানে ‘এবিসি’র অন্তত তিনটি স্টুডিও আছে। ‘দ্য ভিউ’ ডে-টাইম টকশো। পরলোকগত সাংবাদিক বারবারা ওয়াল্টার ১৯৯৭ সালে এ অনুষ্ঠান চালু করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর এটি হোস্ট করেন অস্কার বিজয়ী হলিউড অভিনেত্রী হোপি গোল্ডবার্গ। এছাড়া আরও ৫জন কো-হোস্ট আছেন এ প্রোগ্রামের। ২৫ সেপ্টেম্বর ‘দ্য ভিউ’ সম্প্রচার করা হবে ম্যানহাটানের ২৮১ স্প্রিং স্ট্রিট স্টুডিও থেকে। নির্দিষ্ট দিনে আফনান অফিসে যাওয়ার আগে বলে গেল যে ঠিক ৯:৫৫ মিনিটে আমরা যাতে স্টুডিও’র গেটে থাকি।

আমি ও আমার স্ত্রী এবিসি স্টুডিওতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাবওয়েতে রওয়ানা হলাম। ট্রেনের গতি মন্থর। অতএব পৌছতে ১৫ মিনিটের মতো বিলম্ব হলো। মেয়েকে টেক্সট পাঠানোর পর সে জানাল গেটে যারা আছে তাদেরকে ওর নাম বললেই হবে। আমার স্ত্রী কলিই বললো, “উই আর আফনান’স প্যারেন্টস।” লোকটি তালিকা চেক করে তার সাথে যেতে বললে আমি নার্ভাস ফিল করছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রের পেসিডেন্টের প্রোগ্রাম বলে কথা। কারণ প্রেসিডেন্টের কোনো কোনো প্রোগ্রামে হাজির হতে হলে আমন্ত্রিত অতিথিদের একাধিকবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হয়। তাছাড়া আছে দেহতল্লাশীর ব্যাপার। আমি প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্টের কোনো প্রোগ্রামে অ্যাটেন্ড করতে এসেছি। হালকাভাবে পরীক্ষা করার পর এক লোক আমাদের নিয়ে গেল এলিভেটরে। কত তলায় উঠলাম তা বোঝা গেল না। এলিভেটর থেকে নেমেই মেয়েকে অপেক্ষায় থাকতে দেখলাম। সে ওর বস এক শ্বেতাঙ্গ মহিলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলে ভদ্রমহিলা আমাদের স্টুডিও’র ভিআইপি সেকশনের সামনের সারিতে বসিয়ে দিলেন।

কিছুক্ষণ পরই স্টুডিওতে প্রবেশ করলেন ‘দ্য ভিউ’ এর হোস্ট হোপি গোল্ডবার্গ, কো-হোস্ট জয় বিহার, সানি হোস্টিন, সারা হাইন্স, আলিসা ফারা গ্রিফিন ও এনা নাভারো। চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখলাম স্টুডিওর বিভিন্ন প্রবেশ পথে সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন। বোঝা গেল যেকোনো মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্টুডিওতে হাজির হবেন। আমি অতি উচ্ছসিত এ কারণে যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে একেবারে কাছে থেকে দেখার সুযোগ হবে। মাত্র ১০ ফুট দূরে হোস্ট ও কো-হোস্টদের মাঝের চেয়ারটি শূন্য, যেখানে প্রেসিডেন্ট বসবেন। হোস্ট হোপি প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানোর কথা ঘোষণা করার পরই দেখলাম ধীর পায়ে স্টুডিওতে প্রবেশ করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমরা সবাই করতালি ও হর্ষধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানালাম।

চেয়ারে বসার আগে প্রেসিডেন্ট স্টুডিওর দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়লেন। টকশোতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ৪০ মিনিট উপস্থিত হয়ে হোস্ট ও কো-হোস্টদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলেন। তার উত্তরে দর্শকরা কখনো হর্ষধ্বনি ও করতালি দিচ্ছিল। কখনো বা বক্তব্যের গাম্ভীর্যের কারণে বিরাজ করছিল পিনপতন নীরবতা। প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমরা যে সারিতে বসা ছিলাম, সেই সারির দিকে আসলেন এবং সবার সাথে করমর্দন শুরু করলেন। আমার সামনে আসতেই আমি দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্টের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, “মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আই লাভ ইউ।” প্রেসিডেন্ট আমার সাথে হাত মিলিয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন, “আই লাভ ইউ টু।” আমাদের মধ্যে এ দুটি বাক্যই বিনিময় হয়েছে। আমার হাত ছেড়ে তিনি পাশের দর্শকের সাথে হাত মেলালেন্। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আমার সামনে এবং আমি তার সাথে হাত মেলাতে পেরেছি, এটা ছিল আমার জন্য শিহরণ জাগানো উচ্ছাসের মুহূর্ত। এর কৃতিত্ব পুরোটাই আমার কন্যা আফনানের। এলিভেটর পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এসে মেয়ে জানতে চাইলো, “আব্বু, আর ইউ হ্যাপি?” আমি উত্তর দিলাম, “অফ কোর্স, আই অ্যাম।”

জনপ্রিয় সংবাদ

গঠনতন্ত্র নিয়ে চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ”র এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আফনান আজাদ মুলধারার এবিসিতে

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,বাপসনিউজঃ
বর্তমান বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি ও ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আমার সামনে দাঁড়াতেই আমি “মিস্টার প্রেসিডেন্ট” বলে আমার হাত বাড়িয়ে দেই। বলেছেন আফনান আজাদের বাবা এম আজাদ ।তিনিও হাত বাড়ান আমার হাতের দিকে। আমরা হাত মেলাই। এমন ঘটনাই বাস্তবে ঘটেছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,বুধবার। আমার একমাত্র কন্যা আফনান আমেরিকার মিডিয়া মোগল ‘এবিসি’তে সদ্য নিয়োগ লাভকারী একজন জুনিয়র কর্মকর্তা। গত ২১ সেপ্টেম্বর আমাকে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে জানতে চাইল যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২৫ সেপ্টেম্বর ‘এবিসি’ স্টুডিওতে আসবে, সেদিন আমি স্টুডিওতে যেতে চাই কিনা। আমি ওর মায়ের কাছে জানতে বলি সে যেতে পারবে কিনা।

ওর মাকে আমিও ফোন করে জানাই যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ২৫ সেপ্টেম্বর এবিসি স্টুডিওতে যাবেন ‘দ্য ভিউ’ লাইভ টকশোতে, আমরা সেদিন যাব। প্রথমে সে সম্মত না হলেও পরে আগ্রহী হয়। আফনানকে জানিয়ে দেই যে আমরা যাব। একটু পর সে নিশ্চিত করে যে আমাদের ভিআইপি আসনে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।

পোশাকের কথায় মেয়ে বলে স্যুট বা টাই পরার প্রয়োজন নেই, জিনস বা রেগুলার ট্রাউজারের সাথে শার্ট পরলেই চলবে। ম্যানহাটানে ‘এবিসি’র অন্তত তিনটি স্টুডিও আছে। ‘দ্য ভিউ’ ডে-টাইম টকশো। পরলোকগত সাংবাদিক বারবারা ওয়াল্টার ১৯৯৭ সালে এ অনুষ্ঠান চালু করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর এটি হোস্ট করেন অস্কার বিজয়ী হলিউড অভিনেত্রী হোপি গোল্ডবার্গ। এছাড়া আরও ৫জন কো-হোস্ট আছেন এ প্রোগ্রামের। ২৫ সেপ্টেম্বর ‘দ্য ভিউ’ সম্প্রচার করা হবে ম্যানহাটানের ২৮১ স্প্রিং স্ট্রিট স্টুডিও থেকে। নির্দিষ্ট দিনে আফনান অফিসে যাওয়ার আগে বলে গেল যে ঠিক ৯:৫৫ মিনিটে আমরা যাতে স্টুডিও’র গেটে থাকি।

আমি ও আমার স্ত্রী এবিসি স্টুডিওতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাবওয়েতে রওয়ানা হলাম। ট্রেনের গতি মন্থর। অতএব পৌছতে ১৫ মিনিটের মতো বিলম্ব হলো। মেয়েকে টেক্সট পাঠানোর পর সে জানাল গেটে যারা আছে তাদেরকে ওর নাম বললেই হবে। আমার স্ত্রী কলিই বললো, “উই আর আফনান’স প্যারেন্টস।” লোকটি তালিকা চেক করে তার সাথে যেতে বললে আমি নার্ভাস ফিল করছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রের পেসিডেন্টের প্রোগ্রাম বলে কথা। কারণ প্রেসিডেন্টের কোনো কোনো প্রোগ্রামে হাজির হতে হলে আমন্ত্রিত অতিথিদের একাধিকবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হয়। তাছাড়া আছে দেহতল্লাশীর ব্যাপার। আমি প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্টের কোনো প্রোগ্রামে অ্যাটেন্ড করতে এসেছি। হালকাভাবে পরীক্ষা করার পর এক লোক আমাদের নিয়ে গেল এলিভেটরে। কত তলায় উঠলাম তা বোঝা গেল না। এলিভেটর থেকে নেমেই মেয়েকে অপেক্ষায় থাকতে দেখলাম। সে ওর বস এক শ্বেতাঙ্গ মহিলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলে ভদ্রমহিলা আমাদের স্টুডিও’র ভিআইপি সেকশনের সামনের সারিতে বসিয়ে দিলেন।

কিছুক্ষণ পরই স্টুডিওতে প্রবেশ করলেন ‘দ্য ভিউ’ এর হোস্ট হোপি গোল্ডবার্গ, কো-হোস্ট জয় বিহার, সানি হোস্টিন, সারা হাইন্স, আলিসা ফারা গ্রিফিন ও এনা নাভারো। চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখলাম স্টুডিওর বিভিন্ন প্রবেশ পথে সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন। বোঝা গেল যেকোনো মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্টুডিওতে হাজির হবেন। আমি অতি উচ্ছসিত এ কারণে যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে একেবারে কাছে থেকে দেখার সুযোগ হবে। মাত্র ১০ ফুট দূরে হোস্ট ও কো-হোস্টদের মাঝের চেয়ারটি শূন্য, যেখানে প্রেসিডেন্ট বসবেন। হোস্ট হোপি প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানোর কথা ঘোষণা করার পরই দেখলাম ধীর পায়ে স্টুডিওতে প্রবেশ করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমরা সবাই করতালি ও হর্ষধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানালাম।

চেয়ারে বসার আগে প্রেসিডেন্ট স্টুডিওর দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়লেন। টকশোতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ৪০ মিনিট উপস্থিত হয়ে হোস্ট ও কো-হোস্টদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলেন। তার উত্তরে দর্শকরা কখনো হর্ষধ্বনি ও করতালি দিচ্ছিল। কখনো বা বক্তব্যের গাম্ভীর্যের কারণে বিরাজ করছিল পিনপতন নীরবতা। প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমরা যে সারিতে বসা ছিলাম, সেই সারির দিকে আসলেন এবং সবার সাথে করমর্দন শুরু করলেন। আমার সামনে আসতেই আমি দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্টের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, “মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আই লাভ ইউ।” প্রেসিডেন্ট আমার সাথে হাত মিলিয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন, “আই লাভ ইউ টু।” আমাদের মধ্যে এ দুটি বাক্যই বিনিময় হয়েছে। আমার হাত ছেড়ে তিনি পাশের দর্শকের সাথে হাত মেলালেন্। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আমার সামনে এবং আমি তার সাথে হাত মেলাতে পেরেছি, এটা ছিল আমার জন্য শিহরণ জাগানো উচ্ছাসের মুহূর্ত। এর কৃতিত্ব পুরোটাই আমার কন্যা আফনানের। এলিভেটর পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এসে মেয়ে জানতে চাইলো, “আব্বু, আর ইউ হ্যাপি?” আমি উত্তর দিলাম, “অফ কোর্স, আই অ্যাম।”