হাকিকুল ইসলাম খোকন: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতোয়ে কারাগার থেকে ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরছেন। প্রত্যাগমনকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ মিয়ানমারের নৌ জাহাজ চিন ডুইন (Chin Dwin)-এ ঐদিন সকালে সিতোয়ে বন্দর ত্যাগ করেছেন। জাহাজটি রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজার আসছে। ২৪ এপ্রিল নাগাদ জাহাজটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছাবে এবং এরপরে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশের নাগরিকদের হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রত্যাগমনকারী ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, ০৭ জন রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার ০১ জন করে।খবর বাপসনিউজ।

ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের জাহাজটির বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার তথ্য পাওয়ার সাথেসাথেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে করে। সর্বোচ্চ সংখ্যক যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিককে দ্রুত ও সহজে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনায় দূতাবাস মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থানরত ১৪৪ জন ‘যাচাইকৃত বাংলাদেশি নাগরিক যাদের কারাভোগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বা ক্ষমা পেয়েছেন’ তাদেরকে সিতোয়ে কারাগারে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করে। পাশাপাশি আরো ২৯ জন যাচাইকৃত বাংলাদেশী নাগরিক, যারা এখনো কারাভোগরত কিংবা বিচারাধীন, একইসাথে তাদেরকেও মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি স্বাগতিক দেশের কাছে তুলে ধরে, যার ভিত্তিতে সাজা মওকুফ করে তাদেরকেও দেশে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ০৩ অক্টোবর ২০২৩ দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ করা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়। ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতোয়ে সেই প্রত্যাবাসনের পর থেকেই মিয়ানমারে অবশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে পাঠাতে নিরলস কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সিতোয়ের প্রতিনিধিরা বিগত কয়েকদিন যাবত সশরীরে অবস্থান করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়, যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা এবং প্রত্যাবর্তনকারীদের ভ্রমণের অনুমতি (ট্রাভেল পারমিট) প্রদান সংক্রান্ত কাজ করেছেন। The largest return of Bangladeshi citizens from Myanmar takes place: 173 nationals return home
Hakikul Islam Khokan:One hundred and seventy-three (173) Bangladeshi Nationals retumed home today (Tuesday, 23 April2024) from Sittwe prison in Rakhine State of Myanmar. The returnees were
oMyanmar
Naval Ship Chin Dwin’ which is visiting Bangladesh to bring back members of Myanmar defence force who were forced to cross the border into Bangladesh due to conflict in Rakhine state. The ship is expected to reach the Bangladesh territory by tomorrow and handover of the Bangladeshi citizens to the relevant authorities of Bangladesh will take place at that time. Out of the 173 persons 129 are from Cox’s Bazar District, 30 are from Bandarban District, 07 are from Rangamati District, 01 each from Khagrachari District, Noakhali District, Narayanganj District, Chattogram District, Rajbari District, Narshingdi District and Nilphamari
District.
carried by the
It may be mentioned that Bangladesh Embassy in Yangon, upon receipt of the information of the tentative visit of the Myanmar ship to Bangladesh, took up the issue with the Ministry of Foreign Affairs and Ministry of Home Affairs of Bangladesh and relevant Myanmar authorities to seize the opportunity to send back the maximum number of verified Bangladeshi Nationals who were in different prisons of Myanmar. The Embassy also pursued the relevant host authorities to bring the 144 ‘verified and jail term completed or pardoned’ retumees in Sittwe prison for smooth return and pursued for releasing the 29 verifred Bangladeshi nationals who were still serving their jail terms/under trial. Pursuant to the Mission’s efforts the 29 persons were pardoned and sent back to Bangladesh.
Bangladesh Embassy in Yangon and Bangladesh Consulate in Sittwe has been working steadfastly for this return since the last return of Bangladeshi citizens that took place on 03 October 2023 when 29 Bangladeshis returned home through a flag meeting. Representatives of Bangladesh Embassy in Yangon and Bangladesh Consulate, Sittwe were physically present to coordinate with the local authorities, conduct verification process and issue Travel Permits in favour of the returnees.
r<*