সিলেট ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাপসনিউজঃনতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি সদ্য বিদায়ী সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে গণভবনে নতুন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে জেনারেল র‍্যাংক ব্যাচ পরিয়ে দেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

রোববার দুপুরে সেনাসদর দপ্তরে বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ নতুন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ- জামানকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।

শফিউদ্দিন আহমেদকে ফুল দিয়ে বিদায় জানান সেনাসদর দপ্তরের কর্মকর্তারা। ফুলসজ্জিত গাড়িতে বিদায় দেয়া হয় তাকে। এর আগে সকালে বিদায়ী সেনাপ্রধান শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।

এছাড়াও, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস’ ইন ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রি অর্জন করেন।৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ ছাড়াও, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতিসংঘের ব্যানারে মিলিটারি অবজার্ভার হিসেবে এংগোলাতে এবং সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে লাইবেরিয়াতে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে তার কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ‘অসামান্য সেবা পদক’ (ওএসপি) এ ভূষিত হন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে দেশে ও বিদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।তার শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান ১৯৯৭-২০০০ মেয়াদে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ছিলেন।ব্যক্তিগত জীবনে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং স্ত্রী সারাহনাজ কমলিকা জামানের দুই মেয়ে সামিহা রাইসা জামান ও শাইরা ইবনাত জামান নামে দুই কন্যা সন্তানের জনক।

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাপসনিউজঃনতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি সদ্য বিদায়ী সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে গণভবনে নতুন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে জেনারেল র‍্যাংক ব্যাচ পরিয়ে দেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

রোববার দুপুরে সেনাসদর দপ্তরে বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ নতুন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ- জামানকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।

শফিউদ্দিন আহমেদকে ফুল দিয়ে বিদায় জানান সেনাসদর দপ্তরের কর্মকর্তারা। ফুলসজ্জিত গাড়িতে বিদায় দেয়া হয় তাকে। এর আগে সকালে বিদায়ী সেনাপ্রধান শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।

এছাড়াও, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস’ ইন ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রি অর্জন করেন।৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ ছাড়াও, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতিসংঘের ব্যানারে মিলিটারি অবজার্ভার হিসেবে এংগোলাতে এবং সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে লাইবেরিয়াতে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে তার কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ‘অসামান্য সেবা পদক’ (ওএসপি) এ ভূষিত হন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে দেশে ও বিদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।তার শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান ১৯৯৭-২০০০ মেয়াদে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ছিলেন।ব্যক্তিগত জীবনে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং স্ত্রী সারাহনাজ কমলিকা জামানের দুই মেয়ে সামিহা রাইসা জামান ও শাইরা ইবনাত জামান নামে দুই কন্যা সন্তানের জনক।