সিলেট ১২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের দাফন সম্পন্ন Logo মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগছনের এর শোক Logo বৃটেনের ইস্টলন্ডন জামে মসজিদে মাওলানা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের জানাজা সম্পন্ন Logo ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে “অমরাবতীর”পঞ্চম মিলন মেলা অনুষ্টিত Logo সিলেটে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিতজনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীদেরঅধিকার সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে…….. অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আনোয়ার উজ জামান Logo সমাজে গুণী ব্যক্তিদেরমূল্যায়ন করতে হবে…..এম. আহমদ আলী Logo আলহামদুলিল্লাহ! খেলাফত মজলিস দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার মাসিক নির্বাহী বৈঠক সম্পন্ন। Logo গ্রিসে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ এ ডাক পেয়েছেন কুড়িগ্রামের সুমন। Logo যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা আলহাজ্ব আব্দুল জব্বারের ইন্তেকাল Logo মধুপুরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

মোহাম্মদপুরে সক্রিয় ছিনতাই চক্রের ৯ সদস্য’কে গ্রেফতার করছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ

মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃ সাম্প্রতিক সময়ে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানায় সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা এর দুরদর্শী নেতৃত্বে
উক্ত থানাধীন এলাকায়,অপরাধ,অনিয়ম,ছুরি,ছিনতাইসহ সকল অনিয়ম প্রতিরোধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

প্রায় প্রতিদিনই মোহাম্মদপুরে ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।এতে অনেকেই হারাচ্ছেন মুল্যবান মালামাল। ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হয়েও নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে মুখ খুলছে না অনেকেই। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের ফিউচার হাউজিং ও ওয়াকওয়েতে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় রবিবার (১ অক্টোবর) ৯ যুবককে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো লেগুনা চালক মোঃ আকাশ, ফুটপাতে গেঞ্জি বিক্রেতা মোঃ নয়ন, ডানো কোম্পানীর ভ্যান গাড়ির ড্রাইভার মোঃ সজল ইসলাম, প্রত্যয় বাসের হেলপার মোঃ আবু কালাম, অটোরিক্সা চালক মোঃ আরিফ, আজিম গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর কর্মী মোঃ সজীব, বাসের রং মিস্ত্রী মোঃ কবির, রাজমিস্ত্রী মোঃ নাসির ও লেগুনা চালক মোঃ সুজন।
মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা জানান, মোঃ সুফিয়ান ইবনে সেলিমসহ কয়েকজন থানায় এসে অভিযোগ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যা অনুমান ৭ টায় বাসা থেকে তিন রাস্তার মোড়ে আসার পথে ফিউচার হাউজিং মসজিদের সামনে রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন যুবক হাতে লাঠি, ধারালো বড় ছোরা ও চাপাতি নিয়ে তাকে ঘিরে ধরে। তারা তাকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। তারা তুরাগ নদীর তীরবর্তী ওয়াকওয়ের দিকে হেটে যায়। তিনি তাদের পিছু নেন। ওয়াকওয়েতে স্মার্ট বেম্বো রেস্টুরেন্টের সামনে সঙ্গীয় ফাহিম ইমরানকে মারধর করে তার নিকট থেকে একটি আইফোন ছিনিয়ে নেয়।

কিছু দূর এগিয়ে ওয়াকওয়েতে হান্ড্রেড মাইল রেস্টুরেন্টের সামনে নুসরাত আফ্রিন ও তার বন্ধু রুহুল আমিনকে মারধর করে একটি মোবাইল ফোন ও ১২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারা একই পথ ধরে বসিলা ৪০ ফিট যাওয়ার পথে আরো কয়েকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এরূপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।

তিনি আরো জানান, ওয়াকওয়েতে একাধিক ছিনতাই সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া মাত্রই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন, আসামীদের গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারিত হয়। বসিলা ৪০ ফিট রাস্তা, ফিউচার হাউজিং, রাজধানী হাউজিং, বসিলা গার্ডেন সিটি, গ্রীন সিটি ও ঢাকা উদ্যান এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় ও সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত নয় জনকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা জানান, গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের প্রতিপক্ষ একজনকে মারার জন্য তারা ঢাকা উদ্যানের দিকে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে তাদের কয়েকজন ওয়াকওয়েতে থাকা পথচারীদের মারধর ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তাদের নিকট থাকা মোবাইল, নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং ফেরার পথে কয়েকটি দোকানে ভাংচুর চালায়।
গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে ঘটনায় লুণ্ঠিত ১টি মোবাইল ফোন ও অপরাধে ব্যবহৃত ৩টি চাপাতি ও ২টি ছোরা উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করে ঘটনায় জড়িত অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের দাফন সম্পন্ন

মোহাম্মদপুরে সক্রিয় ছিনতাই চক্রের ৯ সদস্য’কে গ্রেফতার করছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ

আপডেট সময় : ১০:২১:৩০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃ সাম্প্রতিক সময়ে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানায় সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা এর দুরদর্শী নেতৃত্বে
উক্ত থানাধীন এলাকায়,অপরাধ,অনিয়ম,ছুরি,ছিনতাইসহ সকল অনিয়ম প্রতিরোধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

প্রায় প্রতিদিনই মোহাম্মদপুরে ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।এতে অনেকেই হারাচ্ছেন মুল্যবান মালামাল। ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হয়েও নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে মুখ খুলছে না অনেকেই। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের ফিউচার হাউজিং ও ওয়াকওয়েতে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় রবিবার (১ অক্টোবর) ৯ যুবককে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো লেগুনা চালক মোঃ আকাশ, ফুটপাতে গেঞ্জি বিক্রেতা মোঃ নয়ন, ডানো কোম্পানীর ভ্যান গাড়ির ড্রাইভার মোঃ সজল ইসলাম, প্রত্যয় বাসের হেলপার মোঃ আবু কালাম, অটোরিক্সা চালক মোঃ আরিফ, আজিম গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর কর্মী মোঃ সজীব, বাসের রং মিস্ত্রী মোঃ কবির, রাজমিস্ত্রী মোঃ নাসির ও লেগুনা চালক মোঃ সুজন।
মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা জানান, মোঃ সুফিয়ান ইবনে সেলিমসহ কয়েকজন থানায় এসে অভিযোগ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যা অনুমান ৭ টায় বাসা থেকে তিন রাস্তার মোড়ে আসার পথে ফিউচার হাউজিং মসজিদের সামনে রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন যুবক হাতে লাঠি, ধারালো বড় ছোরা ও চাপাতি নিয়ে তাকে ঘিরে ধরে। তারা তাকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। তারা তুরাগ নদীর তীরবর্তী ওয়াকওয়ের দিকে হেটে যায়। তিনি তাদের পিছু নেন। ওয়াকওয়েতে স্মার্ট বেম্বো রেস্টুরেন্টের সামনে সঙ্গীয় ফাহিম ইমরানকে মারধর করে তার নিকট থেকে একটি আইফোন ছিনিয়ে নেয়।

কিছু দূর এগিয়ে ওয়াকওয়েতে হান্ড্রেড মাইল রেস্টুরেন্টের সামনে নুসরাত আফ্রিন ও তার বন্ধু রুহুল আমিনকে মারধর করে একটি মোবাইল ফোন ও ১২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারা একই পথ ধরে বসিলা ৪০ ফিট যাওয়ার পথে আরো কয়েকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এরূপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।

তিনি আরো জানান, ওয়াকওয়েতে একাধিক ছিনতাই সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া মাত্রই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন, আসামীদের গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারিত হয়। বসিলা ৪০ ফিট রাস্তা, ফিউচার হাউজিং, রাজধানী হাউজিং, বসিলা গার্ডেন সিটি, গ্রীন সিটি ও ঢাকা উদ্যান এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় ও সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত নয় জনকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা জানান, গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের প্রতিপক্ষ একজনকে মারার জন্য তারা ঢাকা উদ্যানের দিকে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে তাদের কয়েকজন ওয়াকওয়েতে থাকা পথচারীদের মারধর ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তাদের নিকট থাকা মোবাইল, নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং ফেরার পথে কয়েকটি দোকানে ভাংচুর চালায়।
গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে ঘটনায় লুণ্ঠিত ১টি মোবাইল ফোন ও অপরাধে ব্যবহৃত ৩টি চাপাতি ও ২টি ছোরা উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করে ঘটনায় জড়িত অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।