সিলেট ১১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাংবাদিক মঈন উদ্দিন ও ডালিমকে দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা প্রদান Logo দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo রেঙ্গা হাজিগঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউ কে’র নগদ ঈদ উপহার বিতরনঃ- Logo সিলেটে নওমুসলিম পরিবারের সদস্যরা ঈদ উপহার পেলেন তারেক রহমানের Logo গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন অফ বাফেলো নিউইয়র্কের ইফতার ও উপদেষ্টা মন্ডলীর পরিচিতি অনুষ্টান । Logo ২ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক Logo মোগলাবাজার ইউনিয়ন আল ইসলাহ-তালামীযের সেমিনার ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo সিলামে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে ভিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা Logo দক্ষিণ সুরমায় খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিল Logo যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ছাতকে আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মী গ্রেফতার

ফ্লোরিডায় নাবালকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে আইন

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধিঃসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে কিছু দিন ধরেই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি বাইডেন সরকার সেখানে টিকটক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। তারই মধ্যে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রন ডিস্যানটিস সোমবার জানিয়ে দিলেন, নাবালকরা যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর ব্যবহার করতে না পারে, তা নিয়ে একটি আইনে তিনি সই করেছেন।খবর বাপসনিউজ ।

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হবে। ১৩ বছর না হলে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না সেখানে।

আইনে বলা হয়েছে, ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যাবে না। ১৪ ও ১৫ বছরের বালক-বালিকারা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবে, কিন্তু তার জন্য মা-বাবার অনুমতি নিতে হবে।

ফ্লোরিডার স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই যুগে এই আইন মা-বাবাকে বাচ্চা বড় করতে সাহায্য করবে।

অনেক দিন ধরেই ফ্লোরিডায় এই বিলটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। রাজ্যের স্পিকার পল রেনার চেয়েছিলেন, ১৬ বছরের নিচে কোনো নাবালক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না। সেই প্রস্তাব খারিজ হলেও তার কাছাকাছি একটি প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত আইনের চেহারা পেয়েছে।

এদিন রেনার বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভরে আছে শিশুকামী ও পাচারকারীতে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে নাবালকদের উত্তেজিত করে এবং অন্ধকার জগতের দিকে টেনে নিয়ে যায়।’ শুধু তা-ই নয়, তাঁর মতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বাড়ন্ত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এটা এক ধরনের নেশা তৈরি করে, যা বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে।

এই বিলটি নিয়ে বিতর্কের সময় দুটি বিষয় সামনে এসেছিল।

একদিকে শিশু-সুরক্ষা, অন্যদিকে বাকস্বাধীনতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অধিকার এভাবে ছিনিয়ে নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলা হয়েছে, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তা-ই তাকেই সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক মঈন উদ্দিন ও ডালিমকে দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা প্রদান

ফ্লোরিডায় নাবালকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে আইন

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৫৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধিঃসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে কিছু দিন ধরেই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি বাইডেন সরকার সেখানে টিকটক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। তারই মধ্যে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রন ডিস্যানটিস সোমবার জানিয়ে দিলেন, নাবালকরা যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর ব্যবহার করতে না পারে, তা নিয়ে একটি আইনে তিনি সই করেছেন।খবর বাপসনিউজ ।

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হবে। ১৩ বছর না হলে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না সেখানে।

আইনে বলা হয়েছে, ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যাবে না। ১৪ ও ১৫ বছরের বালক-বালিকারা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবে, কিন্তু তার জন্য মা-বাবার অনুমতি নিতে হবে।

ফ্লোরিডার স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই যুগে এই আইন মা-বাবাকে বাচ্চা বড় করতে সাহায্য করবে।

অনেক দিন ধরেই ফ্লোরিডায় এই বিলটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। রাজ্যের স্পিকার পল রেনার চেয়েছিলেন, ১৬ বছরের নিচে কোনো নাবালক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না। সেই প্রস্তাব খারিজ হলেও তার কাছাকাছি একটি প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত আইনের চেহারা পেয়েছে।

এদিন রেনার বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভরে আছে শিশুকামী ও পাচারকারীতে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে নাবালকদের উত্তেজিত করে এবং অন্ধকার জগতের দিকে টেনে নিয়ে যায়।’ শুধু তা-ই নয়, তাঁর মতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বাড়ন্ত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এটা এক ধরনের নেশা তৈরি করে, যা বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে।

এই বিলটি নিয়ে বিতর্কের সময় দুটি বিষয় সামনে এসেছিল।

একদিকে শিশু-সুরক্ষা, অন্যদিকে বাকস্বাধীনতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অধিকার এভাবে ছিনিয়ে নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলা হয়েছে, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তা-ই তাকেই সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে।