হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ গত ৬ই মার্চ ২০২৪,বুধবার,শেখ হাসিনা মঞ্চ যুক্তরাষ্ট্র যথাযথ মর্যাদায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ইটজি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে মহান ২৬শে মার্চ ২০২৪,বাংলাদেশের ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবস, ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দেয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।খবর বাপসনিঊজ।সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা মঞ্চ যুক্তরাষ্ট্র এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল ঊদ্দিন জলিল এবং যৌথভাবে সন্চালনা করেন সাধারন সম্পাদক কায়কোবাদ খান ও যুগম সাধারন সম্পাদক আসাফ মাসুক।এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদিপ রজ্ঞন কর।বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা মন্ত্রের উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও আমেরিকার মূলধার সংগঠন কংগ্রেস অব বাংলাদেশী আমেরিকানস্ -এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, শেখ হাসিনা মন্ত্রের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কুদ্দুস ,শেখ হাসিনা মন্ত্রের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি, শেখ হাসিনা মন্ত্রের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধুরী,শেখ হাসিনা মন্ত্রের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল খান আনসারী, শেখ হাসিনা মন্ত্রের উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগনেতা আখতার হোসেন,শেখ হাসিনা মন্ত্রের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ই আজম বাবু,শেখ হাসিনা মন্ত্রের উপদেষ্টা এমএ অদুদ তালুকার,বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখর ঊদ্দিন ,চিএ শিল্পী প্রবীর গুন ও চিএ শিল্পী ফজলে আলী কচি ।আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা মন্ত্রের সিনিয়র সহ সভাপতি টি.মোল্ল্যা,সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মিজানুল হাসান,আওয়ামী লীগ নেতা দেলওয়ার হোসেন মোল্ল্যা,যুক্তরাষ্ট্র শ্যমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক লস্কর মইজুর রহমান জুয়েল ও শেখ মোঃজুয়্ল প্রমূখ । সভায় বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, একাত্তুরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, স্বৈরাচার জিয়া-এরশাদের বিরুদ্ধে গনঅভ্যূত্থান, পঁচাত্তরের পনরই আগস্ট স্বপরিবারে জাতির পিতা বংগবনদু ,তেসরা নভেম্বরের জেলহত্যা, ২০০৪ এর একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিবস উপলক্ষে কেঁক কেটে জাতীয় শিশুদিবস উদযাপন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা
ড. প্রদীপ রজ্ঞন কর তার বক্তব্যে বলেন, আলেকজান্ডার দি গ্রেট যেমন বিশ্ব জয় করে নামের শেষে গ্রেট উপাধী পেয়েছিলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুও একটি শোষিত-বন্চিত জাতীকে মুক্তির স্বাদ দিয়েছিলেন তার সারা জীবনের ত্যাগ স্বীকার করে। সুতরাং তাকেও বঙ্গবন্ধু দি গ্রেট উপাধীতে ভূষিত করলে তার প্রাপ্য সন্মান প্রদর্শণ করা হয়।
বিশেষ অতিথি সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন তার বক্তব্যে অগ্নিঝরা মার্চের ঐতিহাসিক দিনসমূহের পাশাপাশি ৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবসকেও আলোচনায় রাখার দাবী জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দুই লক্ষাধিক বিরাঙ্গনা নারীদেরকে তার কন্যাসম মর্যাদায় ৩২ নম্বরের বাড়ীর ঠিকানা ব্যাবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের তৎকালীন সরকার বর্বর পাকিস্তানী বাহিনীর গনহত্যাকে সমর্থন করে ডিসেম্বর মাসে ৭ম নৌবহর পাঠিয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রয়োগের ফলে এবং ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর সরকার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ফলে মাত্র নয় মাসে আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। অন্যথায় কত যুগ যুগ ধরে এ যুদ্ধ চলত এবং আরও কত প্রাণহানী ঘটত তার ইয়াত্তা নাই।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে তালবাহানা শুরু করে। ৩রা মার্চের আহুত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ১ তারিখে স্থগিত ঘোষণা করার সাথ সাথে বিজয়ী বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সারাদেশে দাবানলের মত ফূঁসে ওঠে। শুরু হয় অসহোযোগ আন্দোলন। পূর্ব পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সকল কিছু পরিচালিত হতে থাকে। ভেঙে পড়ে সরকার ব্যাবস্থা। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দশ লক্ষাধীক মানুষের সামনে বাঙালীর একমাত্র বৈধ নেতা বঙ্গবন্ধু ঘোষনা করেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। গনতন্ত্রের সূতিকীগার যুক্তরাস্ট সরকার গনরায়ের প্রতি শ্রদ্ধা না জানিয়ে গনহত্যায় সমর্থন দেয় ও অস্ত্র সরবরাহ করে। আজ সেই যুক্তরাস্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ও অংশগ্রহনমূলক হওয়ার জন্যে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশে ছুটে যায় ও বড় বড় লেকচার দেয়। সারা বিশ্বে অগনতান্ত্রীক সরকারকে মদত দেয়ার জন্যে যুক্তরাস্ট্র সর্বত্র আলোচিত ও ঘৃনিত। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.মহসিন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরে ই আজম বাবু ,বিলকিস মোল্ল্যা ,মাহমুদা নাসরিনসহ অন্যান্যদের আশু রোগমুক্তির জন্য এবং গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪,বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বেলী রেডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা দপ্তর সম্পাদক ও সাপ্তাহিক গনবাংলা সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান শামীম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যদের প্রয়ানে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শেখ হাসিনা মন্ত্রের যুক্তরাষ্ট্রর সিনিয়র সহ সভাপতি টি.মোল্ল্যা ।নৈশভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষিত হয়।