সিলেট ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাংবাদিক মঈন উদ্দিন ও ডালিমকে দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা প্রদান Logo দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo রেঙ্গা হাজিগঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউ কে’র নগদ ঈদ উপহার বিতরনঃ- Logo সিলেটে নওমুসলিম পরিবারের সদস্যরা ঈদ উপহার পেলেন তারেক রহমানের Logo গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন অফ বাফেলো নিউইয়র্কের ইফতার ও উপদেষ্টা মন্ডলীর পরিচিতি অনুষ্টান । Logo ২ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক Logo মোগলাবাজার ইউনিয়ন আল ইসলাহ-তালামীযের সেমিনার ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo সিলামে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে ভিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা Logo দক্ষিণ সুরমায় খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিল Logo যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ছাতকে আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মী গ্রেফতার

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট, ফেরত যাচ্ছেন অনেক রোগী

  • নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • ২০৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল জেলার মধ্যে একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল। কিন্তু এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় প্রতিদিন হাসপাতালের দু-একটি বিভাগ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে জেলার ৭টি উপজেলা ও ৫ টি পৌরসভাসহ আশপাশের সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে অনেক রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।

সোমবার দুপুরে সরজমিন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর আধুনিক হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় শত শত রোগীর ভিড়। কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন থেকে আসা হারুন মিয়া নামক একজন রোগী জানান, তিনি অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় এই বিভাগ সাময়িক বন্ধ। তাই বাইরে চিকিৎসা নিতে হবে।

সরজমিন সেখানে গিয়ে দেখা যায় অর্থোপেডিক্স বিভাগের পাশাপাশি নাক কান গলা বিভাগও তালাবন্ধ। হাসপাতালে আরও দেখা যায় এম আর আই কক্ষ বন্ধ। ডায়লাসিস ইউনিটের ৬ টি বেড নষ্ট।

হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য মতে আগেরদিন রবিবার এই হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ৭৪৪ জন রোগী চিকিৎসা নেন। পাশাপাশি আবাসিক ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩৫ জন।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিকের কক্ষে গেলে তার সঙ্গে বসা পাওয়া যায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল জামানকে।

তিনি জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসছেন। কিন্তু ডাক্তার কম। বিশেষ করে বর্তমানে ৫৪ জন ডাক্তার জায়গায় কাজ করছেন ৩৭ জন। চিকিৎসকের শুন্য পদের সংখ্যা ১৭টি। এছাড়া দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদসহ মোট ৪৭টি পদ শূন্য রয়েছে। আউটসোর্সিং ক্লিনারের পদে আরও ৪৭ জন নেই। সব মিলিয়ে জনবল সংকট প্রকট ।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক জানান, এসব শূন্য পদের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো অনেক বিভাগ নেই। কিন্তু সরেস পদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন করা হয়। আবার চালু আছে এমন বিভাগের ডাক্তারদের প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/এআর)

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক মঈন উদ্দিন ও ডালিমকে দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা প্রদান

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট, ফেরত যাচ্ছেন অনেক রোগী

আপডেট সময় : ০৫:৩০:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল জেলার মধ্যে একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল। কিন্তু এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় প্রতিদিন হাসপাতালের দু-একটি বিভাগ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে জেলার ৭টি উপজেলা ও ৫ টি পৌরসভাসহ আশপাশের সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে অনেক রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।

সোমবার দুপুরে সরজমিন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর আধুনিক হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় শত শত রোগীর ভিড়। কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন থেকে আসা হারুন মিয়া নামক একজন রোগী জানান, তিনি অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় এই বিভাগ সাময়িক বন্ধ। তাই বাইরে চিকিৎসা নিতে হবে।

সরজমিন সেখানে গিয়ে দেখা যায় অর্থোপেডিক্স বিভাগের পাশাপাশি নাক কান গলা বিভাগও তালাবন্ধ। হাসপাতালে আরও দেখা যায় এম আর আই কক্ষ বন্ধ। ডায়লাসিস ইউনিটের ৬ টি বেড নষ্ট।

হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য মতে আগেরদিন রবিবার এই হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ৭৪৪ জন রোগী চিকিৎসা নেন। পাশাপাশি আবাসিক ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩৫ জন।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিকের কক্ষে গেলে তার সঙ্গে বসা পাওয়া যায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল জামানকে।

তিনি জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসছেন। কিন্তু ডাক্তার কম। বিশেষ করে বর্তমানে ৫৪ জন ডাক্তার জায়গায় কাজ করছেন ৩৭ জন। চিকিৎসকের শুন্য পদের সংখ্যা ১৭টি। এছাড়া দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদসহ মোট ৪৭টি পদ শূন্য রয়েছে। আউটসোর্সিং ক্লিনারের পদে আরও ৪৭ জন নেই। সব মিলিয়ে জনবল সংকট প্রকট ।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক জানান, এসব শূন্য পদের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো অনেক বিভাগ নেই। কিন্তু সরেস পদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন করা হয়। আবার চালু আছে এমন বিভাগের ডাক্তারদের প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/এআর)