সিলেট ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাংবাদিক মঈন উদ্দিন ও ডালিমকে দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা প্রদান Logo দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল Logo রেঙ্গা হাজিগঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউ কে’র নগদ ঈদ উপহার বিতরনঃ- Logo সিলেটে নওমুসলিম পরিবারের সদস্যরা ঈদ উপহার পেলেন তারেক রহমানের Logo গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন অফ বাফেলো নিউইয়র্কের ইফতার ও উপদেষ্টা মন্ডলীর পরিচিতি অনুষ্টান । Logo ২ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক Logo মোগলাবাজার ইউনিয়ন আল ইসলাহ-তালামীযের সেমিনার ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo সিলামে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে ভিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা Logo দক্ষিণ সুরমায় খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিল Logo যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ছাতকে আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মী গ্রেফতার

মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

সিলেট, শনিবার, ০৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হাওরের মাছ প্রকৃতির দান। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করে মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে মানুষ ভোক্তা ও আহরণকারী হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আজ ২৩ নভেম্বর শনিবার সিলেটে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে হাওরে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় স্টেকহোল্ডারস্ কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে স্টেকহোল্ডারস্ কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান। এতে হাওর বেষ্টিত সাতটি জেলার জেলা প্রশাসক, তাঁদের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।

ওয়ার্কশপে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, হাওরে মাছের গতিপথে অপরিকল্পিত বাধ ও রাস্তা নির্মাণের ফলে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরে দেশীয় প্রজাতিগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।

যারা মাছ ধরছেন তাঁদের ভূমিকা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পেশায় যাঁরা নিয়োজিত তাঁদের প্রতি অনেক অন্যায় করা হয়েছে। যাঁরা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তাঁদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি। এতদিন জলমহাল যাদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে, তারা অতি মুনাফার লোভে মাছের ক্ষতি করেছে। এজন্য প্রকৃত মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা অত্যন্ত দরকার। উপদেষ্টা আরো বলেন, মাছ ধরা পেশাকে আধুনিকায়ন করতে হবে, যাতে তাঁরা সম্মানের সাথে বাঁচতে পারেন।

মাছের প্রজননকালীন মাছ ধরতে নিষিদ্ধের বিষয়ে হাওর অঞ্চলে বিলবোর্ড ও রেডিও-টেলিভিশনে এ সংক্রান্ত প্রচারণা চালানো যেতে পারে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এসময়ে হাওর অঞ্চলে মাছ ধরার নিষিদ্ধের পাশাপাশি পর্যটনও সমন্বয় করা যেতে পারে। #

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক মঈন উদ্দিন ও ডালিমকে দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা প্রদান

মাছের প্রজননে সময় না দিয়ে মানুষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১২:৫৬:২৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সিলেট, শনিবার, ০৮ অগ্রহায়ণ (২৩ নভেম্বর):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হাওরের মাছ প্রকৃতির দান। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করে মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে মানুষ ভোক্তা ও আহরণকারী হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আজ ২৩ নভেম্বর শনিবার সিলেটে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে হাওরে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় স্টেকহোল্ডারস্ কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে স্টেকহোল্ডারস্ কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান। এতে হাওর বেষ্টিত সাতটি জেলার জেলা প্রশাসক, তাঁদের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।

ওয়ার্কশপে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, হাওরে মাছের গতিপথে অপরিকল্পিত বাধ ও রাস্তা নির্মাণের ফলে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরে দেশীয় প্রজাতিগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।

যারা মাছ ধরছেন তাঁদের ভূমিকা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পেশায় যাঁরা নিয়োজিত তাঁদের প্রতি অনেক অন্যায় করা হয়েছে। যাঁরা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তাঁদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি। এতদিন জলমহাল যাদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে, তারা অতি মুনাফার লোভে মাছের ক্ষতি করেছে। এজন্য প্রকৃত মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা অত্যন্ত দরকার। উপদেষ্টা আরো বলেন, মাছ ধরা পেশাকে আধুনিকায়ন করতে হবে, যাতে তাঁরা সম্মানের সাথে বাঁচতে পারেন।

মাছের প্রজননকালীন মাছ ধরতে নিষিদ্ধের বিষয়ে হাওর অঞ্চলে বিলবোর্ড ও রেডিও-টেলিভিশনে এ সংক্রান্ত প্রচারণা চালানো যেতে পারে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এসময়ে হাওর অঞ্চলে মাছ ধরার নিষিদ্ধের পাশাপাশি পর্যটনও সমন্বয় করা যেতে পারে। #