মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতে এড. সৈয়দ আহসান মাহমুদ হাবিব উল্লাহকে সহকারী সরকারি কৌসুলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আইন ও বিচার বিভাগের সলিউটর অনুবিভাগের প্রেরিত সলিসিটর/জিপি-পিপি (মৌলভীবাজার)-৫৬/২০২৪ (অংশ-১)-১৩৯ স্মারকের তথ্য মতে, গত ২২ অক্টোবর মৌলভীবাজারের বিভিন্ন আদালতে ৪২ জন আইনজীবীকে সরকারি আইন কর্মকর্তা-সরকারি কৌঁসুলি (জিপি), অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত ২৩ অক্টোবর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর উইং থেকে এ সম্পর্কিত পৃথক নিয়োগ জারি করা হয়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া এক পত্রের তথ্যে এবং গত ২২/১০/২০২৪ উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মোঃ মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এই নিয়োগাদেশে মৌলভীবাজর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীনস্থ আদালত, বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রাইব্যুনাল এবং বিশেষ জজ আদালতে এর আগে নিয়োগ করা সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদেরকে নিজ নিজ পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ খুশালপুর গ্রামের সৈয়দ বাড়ি নিবাসী একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সেনাবাহিনী কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দুল হাই (রমজান মিয়া)এর কনিষ্ঠপুত্র, মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতে সহকারী সরকারি কৌসুলি (এপিপি)হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত এডভোকেট সৈয়দ আহসান মাহমুদ হাবিব উল্লাহ ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন।তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল হাই ষাটের দশকের প্রথম দিকে নন-কমিশন কর্মকর্তা হিসাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে তিনি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধেও তিনি বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনা সদস্যদের মধ্যে সৈয়দ আব্দুল হাই একজন।হযরত শাহ জালাল (রহঃ)এর সঙ্গী ৩৬০আউলিয়ার অন্যতম সিলেট
ও তরফ বিজয়ী সিপাহ সালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহ:)এর অধঃ পুরুষ পীরে কামেল সৈয়দ দিলোওয়ার আলী (রহ:)এর বংশধর এডভোকেট হাবিব সুনামের সাথে আইন পেশার পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন।
এদিকে শমশেরনগর জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী সেলিম চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা সিলাম দেওয়ান খালিক–সৈয়দা আছিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক হাজী এম আহমদ আলী,
শমশেরনগর জেনারেল হাসপাতাল নির্বাহী কমিটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং কুলাউড়া ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যাপক যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি, গবেষক সৈয়দ মাসুম অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এড. সৈয়দ আহসান মাহমুদ হাবিব উল্লাহ এর পেশাগত জীবনে আরও উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা এবং তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ২০১৮ সালে আইন পেশায় এসে অতি অল্প সময়ে, অল্প বয়সে তাঁর এই অর্জন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি, সদ্য নিয়োগ পাওয়া কাজে এড. সৈয়দ আহসান মাহমুদ হাবিব উল্লাহ এর পেশাদারিত্বের পরিচয় পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বিজ্ঞপ্তি