মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপা – কলাগাছিয়া সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি ধসে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ঝুঁকিয়ে নিয়ে যানবাহন চলাচল করায় যে কোনো সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা অনতিবিলম্বে মেরামত করতে অন্তর্বতর্ী সরকারের সংশ্লিস্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে।কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনেই ব্রিজটির ক্ষত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ঝুকিতে রয়েছে।
জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি ও ডাকুয়ার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া ভারানি খালের উপর গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি ধসে গিয়ে যানবাহন ও মানুষের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলজিইডি কর্তৃক এ ব্রীজটি ৬/৭ বছর আগে নির্মিত হলেও কিন্তু প্রায় এক বছর ধরে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের ব্যাহাল দশা। গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটির পাশেই রয়েছে চিকনিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ, কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় , ব্যাংক, এনজিও অফিস ও বড় ধরনের বাজার। যা একমাত্র ব্রিজটির উপর দিয়ে চলতে হয়। ব্রিজটির উত্তর পাশে রয়েছে চিকনিকান্দি ইউনিয়ন ও দক্ষিন পাশে রয়েছে ডাকুয়া ইউনিয়ন । মুলত: দক্ষিন পাশেই রয়েছে বিশাল ক্ষত। এ ব্রিজটি দিয়ে আশ পাশের বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থী সহ নানা বয়স ও পেশার মানুষ গন্তব্যে যাতায়ত করে থাকেন। পাঁচ ইউনিয়ন তথা ডাকুয়া, গজালিয়া , বকুলবাড়ীয়া, চিকনিকান্দি ও কলাগাছিয়াসহ পার্শ্ববর্তী বাউফল উপজেলায় এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫হাজার লোক আসা যাওয়া করে। দিনের বেলায় যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও রাতের বেলায় ও বৃষ্টির সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে।
চিকনিকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ জানান, এ ব্রিজটির দক্ষিন পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি ধসে গিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনেও সমাধান করছে না। ব্রিজটি সংস্কারের ব্যাপারে এলাকারবাসীর জোড় দাবী।
এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ব্রিজটির জন্য উপজেলা পরিষদ এক লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছিল । কাজটির ব্যাপারে তৎপর রয়েছি।